পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে আটটি কুকুরছানাকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে তার সরকারি বাসভবন ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন এ নির্দেশ জারি করে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসানুল রহমান উপজেলা কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে কর্মরত। গত সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় কুকুরছানাগুলোর মরদেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এক সপ্তাহ আগে হাসানুল রহমানের সরকারি কোয়ার্টারের আঙিনায় কুকুরটি ছানার জন্ম দেয়। সোমবার সকালে মা কুকুরটিকে পুকুরের চারপাশে আতঙ্কিতভাবে ছোটাছুটি করতে ও আর্তনাদ করতে দেখা যায়। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুকুরের ভাসমান একটি বস্তা উদ্ধার হলে এর ভেতর থেকে পাওয়া যায় মৃত আট কুকুরছানা।
হৃদয়বিদারক এ ঘটনার পর মঙ্গলবারও মা কুকুরটিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে ঘুরে বেড়াতে ও বিবর্ণ স্বরে ডাকতে দেখা গেছে, যা দেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিচলিত হয়ে পড়েন।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান বলেন,
“এভাবে নিরপরাধ প্রাণী হত্যা চরম অমানবিক ও নৃশংস। শাস্তিস্বরূপ অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে এক দিনের মধ্যে সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন জানান, প্রাণী নির্যাতন দণ্ডনীয় অপরাধ এবং বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আবদুর নূর জানান,
“ঘটনার তদন্ত চলছে, আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।”
হাসানুল রহমান এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,
“সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমার স্ত্রী ছানাগুলো সরিয়ে দিতে বলেছিল। তবে এভাবে মারা যাবে তা বুঝিনি। আমি অত্যন্ত লজ্জিত ও দুঃখিত।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিন্দার ঝড় উঠেছে।











