অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য কারখানায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযান: বিপুল নকল পণ্য জব্দ, জরিমানা ও কারখানা সিলগালা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পাড়াটংগী এলাকায় অনুমোদনবিহীনভাবে শিশু খাদ্য উৎপাদন এবং নকল বিএসটিআই লোগো ব্যবহার–এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বুধবার সকাল ১১টায় দুটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে এসব কারখানায় মানহীন উপাদানে শিশু খাদ্য উৎপাদন এবং সম্পূর্ণ অসাস্থ্যকর পরিবেশে পণ্য প্রস্তুতের অভিযোগ ছিল, যা শিশুদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে উঠেছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুবনা আক্তার লুনা এর সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে অংশ নেন প্রকৌ. শাওন কুমার ধর আবীর, ফিল্ড অফিসার (সিএম), বিএসটিআই ময়মনসিংহ।
অভিযানে দুটি কারখানা থেকেই বিপুল পরিমাণ নকল শিশু খাদ্য, কেমিক্যাল, ব্যবহৃত প্যাকেট ও ভেজাল উপকরণ জব্দ করা হয়।
✔ মা ফুড প্রডাক্ট
অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি—
-
বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই শিশু খাদ্য উৎপাদন করছে,
-
নকল বিএসটিআই লোগো ব্যবহার করছে,
-
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড প্রাণ এর আচারের প্যাকেট হুবহু নকল করে পণ্য বাজারজাত করছিল,
-
এবং সম্পূর্ণ অসাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।
অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
✔ মায়ের দোয়া ফুড প্রোডাক্টস
অভিযানের খবর পেয়ে কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়।
তবে কারখানা থেকে—
-
বিপুল পরিমাণ নকল শিশু খাদ্য,
-
প্যাকেজিং উপকরণ,
-
কাঁচামাল
উদ্ধার করা হয়।
পরে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান
পাড়াটংগী এলাকায় অনুমোদনহীনভাবে এমন আরও কয়েকটি শিশু খাদ্য কারখানা গড়ে উঠেছে বলে ধারণা করছে উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে ইউএনও আতিকুল ইসলাম জানান—অবৈধ, মানহীন ও শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এরও আগে, গত ১৬ নভেম্বর একই এলাকায় ‘গ্রামীণ চাটনি’ নামের আরেকটি অনুমোদনহীন কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সব সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয় এবং মালিককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মুক্তাগাছায় ইউএনও আতিকুল ইসলামের কঠোর ভূমিকা প্রশংসিত
মুক্তাগাছা উপজেলায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্য কারখানায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনার কারণে ইউএনও আতিকুল ইসলাম স্থানীয় মানুষের কাছে ইতোমধ্যে প্রশংসিত ও আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন।
তার নেতৃত্বে প্রশাসনের এসব কার্যক্রম এলাকায় নকল ও নিম্নমানের খাদ্য উৎপাদন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।











